অনুচ্ছেদ- ১.০ সংগঠনের নামকরন ও পরিচিতি:
১.১ অত্র গঠনতন্ত্র বাংলাদেশ মানবমুক্তির সংগ্রাম সোসাইটি ২০২৪ হিসেবে নামকরন করে ১১/০৫/২০২৪ ইং স্থাপিত হল।
অত্র গঠনতন্ত্র দ্বারা অত্র সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।
নাম বাংলায়: বাংলাদেশ মানবমুক্তির সংগ্রাম সোসাইটি।
নাম ইংরেজীতে: Bangladesh Manobmuktir Songram Society
স্থাপিত: ২০২৪ ইং।
১.২ রেজিষ্টার্ড অফিস:
অত্র সংগঠনের প্রধান অফিস- ঢাকা।
ঠিকানা: ৫ নং মেম্বার গলি, কমিউনিটি সেন্টার মেইন রোড, আশ্রাফাবাদ, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা-১২১১।
কার্যালয়: ৫ নং মেম্বার গলি, কমিউনিটি সেন্টার মেইন রোড, আশ্রাফাবাদ, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা-১২১১।
১.৩.১ প্রতিকুল পরিস্থিতিতে অনলাইনে অত্র সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।
১.৩.২ প্রয়োজনে অত্র সংগঠনের নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে অলাইনে অত্র সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।
১.৩.৩ অত্র সংগঠনের নির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় খোলা যাইবে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরন করে।
১.৩.৪ কার্যক্রম এলাকা: সর্বোপরি কার্যক্রম সমগ্র বাংলাদেশ নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরন করে, তবে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে বিশ্বব্যাপি সম্প্রসারন করা হইবে।
১.৩ সংগঠনের স্লোগান: জীবন জীবনের জন্য।
১.৪ সংগঠনের মনোগ্রাম: লগো
অনুচ্ছেদ ২.০ বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি:
২.১ বাংলাদেশ মানবমুক্তির সংগ্রাম সোসাইটি (বামাস) একটি অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিকামী, জাতীয় আত্মানুসন্ধানী, মানবতাবাদী, সাহিত্য সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান মানসিকতা ও কুসংস্কার দূরীকরনের সামাজিক সংগঠন। অত্র সংগঠন মানব কল্যাণের সাথে সমাজের পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর মানবগোষ্ঠীকে শিক্ষিত ও সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করার উদ্দেশ্যে কাজ করবে।
২.২ অত্র সংগঠন বাংলাদেশের গৌরবোজ্জল ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, নীতি আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করে নৈতিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, বিজ্ঞান মনস্কতায়, সৃজনশীলতায় উন্নত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করা ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধতায় শুভবুদ্ধি ও শুভ চিন্তার সুনাগরিক হিসাবে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
২.৩ আবহমান সাংস্কৃতি জীবনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আত্মানুসন্ধানী ও সমকালীন মুক্ত চিন্তায় এক গৌরবময় সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য এক সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে বামাস কাজ করে যাবে।
২.৪ একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাংলার লোকায়ত জীবনের ভেতর থেকে যে চিরায়ত সাংস্কৃতিক চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেই অন্তঃসলিলা বিস্মৃত চেতনার পুনরাবিষ্কার বামাসের শক্তি চেতনার উৎস হবে।
২.৫ বামাস আমাদের জাতীয় চৈতন্য ও সংস্কৃতি প্রবাহের ধারাকে প্রতিনিয়ত সনাক্ত করবে এবং সাংস্কৃতিক ধারার উত্তরণের গতিপথ নির্ধারনে ভূমিকা রাখবে।
২.৬ বামাস আমাদের জাতীয় ইতিহাস ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের ভাবগত ও রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে।
২.৭ বামাস অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে জাতীয় সংকটে সাংস্কৃতিক শক্তিকে হাতিয়ার করে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
২.৮ অত্র সংগঠন বাংলাদেশ সরকারের সাহায্যে সকল প্রকার দূর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করবে এবং তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সরকারের অনুমতিক্রমে ছায়াতদন্ত করতে পারবে এবং যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভূমিকা পালন করতে পারবে।
২.৯ সংখ্যা লঘু, নারী, মেহনতী মানুষ ও দেশীয় শিল্প পুঁজির স¦পক্ষ্যে অবস্থান পরিষ্কার থাকবে।
২.১০ অত্র সংগঠনে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ভেদাভেদ থাকবে না। অত্র সংগঠন ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, জাতিসত্তা নির্বিশেষে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিবিড় ভ্রাতৃত্ব্যবোধ গড়ে তুলবে।
২.১১ সরকারের পাশাপশি বামাস ও যে কোন অসংগতির বিরুদ্ধে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে ছায়া তদন্ত করতে পারবে এবং জোড়ালো প্রতিবাদ ও প্রতিরক্ষায় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
২.১২ অত্র সংগঠন পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় সরকার ও জনগনের সাথে কাজ করবে এবং যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারবে।
২.১৩ স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন সহ বøাড ব্যাংক তৈরি,মরনোত্তর দেহ দানে উদ্বুদ্ধ করবে।
২.১৪ অন্যায়, দূর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো সহ নারী ও পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে সচেতনতা সৃষ্টি করা ও সমাধানে কাজ করবে।
২.১৫ অত্র সংগঠন সকল সদস্যদের জন্য নির্বাহি কমিটি কর্তৃক আহŸান হলে পূর্নমিলনী, সভা সমাবেশ, সেমিনার, কর্মশালা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য সামাজিক কর্মসূচি এবং মিটিং করা হইবে।
২.১৬ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অত্র সংগঠন যদি সামর্থ অর্জন করে তবে সম্পত্তি ক্রয় করে সংগঠনের (বামাস) নামে ভবন, অফিস, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, গবেষণা সেল তৈরি করা এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সহ হল নির্মান করতে পারবে।
২.১৭ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কল্যাণে বামাস কাজ করবে।
২.১৮ দেশ ও দেশের বাহিরে বামাসের শাখা গঠন, অনুমোদন ও তাদের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ ৩.০- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
৩.১ লক্ষ্য: বামাসের ২ অনুচ্ছেদের ১৮ দফা বাস্তাবায়ন করা।
৩.২ অত্র সংগঠনের উদ্দেশ্য:
ধর্মীয় ও পারিবারিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক বিজ্ঞান মনষ্ক এবং যুক্তিনিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, বর্ণ বৈষম্য ও লিঙ্গ বৈষম্য মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকল মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। তাই এই সংগঠন সর্বদা আগামী প্রজন্মের জন্য এক সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।
অনুচ্ছেদ- ৪.০ সদস্যনামা:
৪.১ সদস্য শ্রেণি বিভাগ:
(ক) প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য- যেসকল সদস্যগণ এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সহায়তা করবেন তাদের একটি তালিকা থাকবে এবং সহায়তাকারী ও উদ্যেগ গ্রহনকারী সেই তালিকা মূলে অত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিবেচিত বলে গন্য হবে।
(খ) প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অত্র উপধারা গুলো প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে গন্য হবে।
(গ) উপদেষ্টা বৃন্দ- অত্র সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক যোগ্যতা, দক্ষ, অভিজ্ঞব্যক্তিদেরকে অত্র সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবেন। বিশেষ প্রয়োজনে উপদেষ্টা/উপদেষ্টা বৃন্দের সহায়তা চাওয়া হইলে তাহারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন। উল্লেখ্য তাহাদের কোন নির্বাহী ক্ষমতা থাকিবে না।
(ঘ) সাধারণ সদস্য- সাধারণ সদস্যদের যোগ্যতা নিম্নে বর্ণিত ৪.২ মোতাবেক নির্ধারিত হবে।
৪.২ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা:
৪.২.১ অত্র সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি আস্থাশীল এবং অত্র সংগঠনের গঠনতন্ত্রের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। অত্র সংগঠনের একটি নির্দিষ্ট ফরমে তাহাদের অঙ্গীকারনামা সদস্য অর্ন্তভুক্তির স্বাক্ষর প্রদান করিতে হইবে।
৪.২.২ অত্র সংগঠনের সদস্য হওয়ার নূন্যতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সের কেউ সংগঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের প্রতি আস্থাবান হলে তাকে সমর্থক হিসেবে গণ্য করা হবে।
৪.২.৩ অত্র সংগঠনের যাহারা সদস্য হবেন তাহাদের স্বপ্রনদিত হয়ে অত্র সংগঠন থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে আগ্রহী হতে হবে।
৪.২.৪ অত্র উপধারা মুলে অত্র সংগঠনের সকল সদস্য/কর্মকর্তা অত্র সংগঠনে কাজ করার জন্য কোন বেতন বা ভাতাদী দাবি করিতে পারিবেন না বা দেওয়া হবে না।
৪.২.৫ মানুষের অধিকার হরণ হয় এই ধরনের কোন কাজের সাথে যুক্ত থাকা যাবে না।
৪.২.৬ নির্ধারিত চাঁদা নিয়মিত পরিশোধ করতে ইচ্ছুক থাকতে হবে।
৪.৩ সদস্য পদ বাতিল/স্থগিত বিষয়ক:
৪.৩.১ অত্র সংগঠনের কোন সদস্য গঠনতন্ত্র বিরোধী কোন কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হলে বা পাওয়া গেলে কমিশন গঠনের মাধ্যমে কমিশনের সুপারিশক্রমে সদস্য পদ বাতিল বা স্থগিত করা হইবে।
৪.৩.২ মানুষের অধিকার হরণ হয় এমন কাজে জড়িত এবং বর্ণ বৈষম্যমূলক ও লিঙ্গবৈষম্যমূলক মনোভাব পোষণকারীর সদস্য পদ বাতিলের জন্য বিবেচিত হবেন।
৪.৩.৩ অত্র সংগঠনের কোন সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে কারণ উল্লেখ করে অত্র সংগঠনের সভাপতি বরাবর পদত্যাগ পত্র দাখিল করতে হবে। সভাপতি সেই পদত্যাগ পত্র অনুমোদন করিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্য পদ বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
৪.৩.৪ মানসিক ভারসাম্য হারালে এবং মৃত্যুবরণ করলে সদস্য পদ বাতিল হয়ে সম্মানিত প্রাক্তন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবেন।
৪.৩.৫ প্রাসঙ্গিক কারণে কোন সদস্যকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার সংগঠনের নির্বাহী সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিষদ সংগঠনের সভাপতি বরাবর সুপারিশ করিলে সভাপতি সেই সুপারিশ অনুমোদন করিলে তাহার সদস্য পদ বাতিল হইবে।
৪.৩.৬ অত্র সংগঠনের কোন সদস্য যদি ফৌজদারী অপরাধে জড়িত থাকে তার দায় সংগঠন নেবেনা। প্রচলিত রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী তাহার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অনুচ্ছেদ -৫.০ সাংগঠনিক কাঠামো:
৫.১ বামাসের কেন্দ্রিয় কাঠামো হবে ৪ (চার) স্তর বিশিষ্ট।
(ক) সাধারন পরিষদ
(খ) কার্য পরিষদ
(গ) পরিচালনা পরিষদ
(ঘ) উপদেষ্টা পরিষদ
৫.১.১ প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ এবং সকল সদস্যবৃন্দ সাধারন পরিষদ এর অন্তর্ভূক্ত হবেন।
৫.১.২ সাধারণ পরিষদের সদস্যগণ নির্বাহী পরিষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
৫.১.৩ সাধারণ পরিষদের সদস্যগণ সংগঠন হতে দায়িত্ব পালনে বাধ্য থাকিবেন।
৫.১.৪ লক্ষ্য অর্জনে এবং সংগঠনের উন্নয়নে সাধারন সদস্যগণ মতামত ও সুপারিশ পেশ করবেন।
৫.২ কার্যনির্বাহী পরিষদের কাঠামো।
৫.২.১ সাধারণ পরিষদের সদস্যগণের মধ্য থেকে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হবে।
৫.২.২ নির্বাহী পরিষদ সংগঠনের লক্ষ্য অর্জনে উপদেষ্টা পরিষদ ও সাধারন পরিষদের সমর্থনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
৫.২.৩ নির্বাহী পরিষদ প্রতি তিন মাস অন্তঃসভা আহ্বান করবে। প্রয়োজনে তিন মাসের আগে অথবা পরেও সভা আহ্বান করতে পারবে।
৫.২.৪ পরপর ৩টি সভায় উপস্থিত না হলে নির্বাহী পরিষদ থেকে সদস্যপদ বাতিল হবে এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা নির্বাহী পরিষদের শূন্য স্থান পূরণ করতে পারবে।
৫.২.৫ নির্বাহী পরিষদের শূন্যপদে ভোটের মাধ্যমে সদস্য নির্বাচিত হবে।
৫.২.৬ নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ হবে ২ বছর। প্রতি ২ বছর অন্তর কেন্দ্রিয় সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাহী পরিষদ গঠন হবে।
৫.২.৭ নির্বাহী পরিষদের গঠন হবে নিম্নরূপ:
সভাপতি- ১ জন
সহ সভাপতি
সাধারন সম্পাদক
অর্থ সম্পাদক
সাংগঠনিক সম্পাদক
প্রচার সম্পাদক
দপ্তর সম্পাদক
নির্বাহী সম্পাদক
৫.৩ পরিচালনা পরিষদ:
৫.৩.১ অত্র সংগঠনের সকল সাধারণ সদস্য সভাপতি কর্তৃক আয়োজিত সভায় ভোটের মাধ্যমে একটি পরিচানা পরিষদ গঠন করিবেন।
৫.৩.২ পরিচালনা পরিষদের গঠন হবে নিম্নরূপ
সভাপতি- ১ জন
সহ-সভাপতি- ১ হইতে ৫ জন পর্যন্ত
সাধারন সম্পাদক- ১ জন
সহ সাধারন সম্পাদক- ১ জন
কোষাধ্যক্ষ- ১ জন
সাংগঠনিক সম্পাদক- ১ জন
দপ্তর সম্পাদক- ১ জন
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক- ১ জন
সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক- ১ জন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- ২ জন
পরিবেশ ও জনকল্যান সম্পাদক- ১ জন
সদস্য সচিব- ১ জন
সদস্য- ৩ জন
৫.৩.৩ অত্র সংগঠনের সভাপতির নির্দেশে সকল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পরিচালনা পরিষদ কাজ করবেন।
৫.৩.৪ নির্বাহী পরিষদের কাজ কর্মে সহযোগিতা করবেন।
৫.৩.৫ অত্র সংগঠনের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক প্রতি ৩ মাস অন্তর সভা আহ্বান করিবেন। তবে সাধারণ সভা ০২ মাসের আগে আহ্বান করা যাবে না। অত্র সংঠনের সভাপতি বিশেষ সভা যেকোন সময়ে আহ্বান করিতে পারিবেন।
৫.৩.৬ অত্র সংগঠনের পরিচালনা পরিষদ সকল সম্পত্তি ও উহার আয় ব্যয় হিসেব রক্ষা করিবে। প্রয়োজনে ৬ মাস অন্তর অডিট এবং বৎসর শেষে বাৎসরিক অডিট সম্পাদন করিবেন।
৫.৩.৭ অত্র সংগঠনের সদস্য বৃদ্ধি, সংগঠন সম্প্রসারন, সদস্য বাতিল, কোন কারনে পদ শূন্য হলে সাময়িক ভাবে অত্র সংগঠনেরসভাপতির অনুমতিক্রমে তা পরিচালনা পরিষদপূরণ করতে পারবেন।
৫.৩.৮ অত্র সংগঠনের পরিচালনা পরিষদের মেয়াদকাল হবে ০৪ বছর। মেয়াদ শেষ হবার ০১ মাস পূর্বে সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করিয়া একটি নির্বাচনী সভা আহ্বান করিবেন এবং সাধারন সদস্যগণের ভোটে সদস্যগণের পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হইবে।
৫.৩.৯ কোন বিশেষ বা জরুরী কারণ বশত অত্র সংগঠনের সভাপতি পরিচালনা পরিষদের কার্যাবলী বাতিল বা স্থগিত করিতে পারবে, সে ক্ষেত্রে সংগঠনের সভাপতির নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করিবেন।
৫.৩.১০ সংগঠনের অভ্যন্তরিন কোন্দল বা যে কোন সমস্যা নিরসনে অত্র সংগঠনের সভাপতি সভা ডেকে বা তার নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা তা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
৫.৪ উপদেষ্টা পরিষদের কাঠামো:
৫.৪.১ সাধারন পরিষদ ৩/৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন। এর মেয়াদ হবে ২ বছর।
৫.৪.২ উপদেষ্টা পরিষদ সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে সাংগঠনিক কাঠামোর সক্রিয় অংশগ্রহন হিসেবে বিবেচিত হবেন।
৫.৪.৩ অত্র সংগঠনের বিস্তার, চেতনা বিকাশ এবং আর্থিক বিষয়াদির ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করবেন। উপদেষ্টাগণ যেকোন সভায় উপস্থিত থেকে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন।
৫.৪.৪অত্রসংগঠনের আভ্যন্তরীন কোন্দলসহ যে কোন সমস্যা নিরসনে সভা ডেকে নিষ্পতিÍ করারজন্য পরার্মশ প্রদান করতে পারবেন।
৬.০ পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
৬.১ সভাপতি: তিনি সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সকল প্রকার সভা এবং সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন। তিনি সংগঠনের প্রশাসনিক ও দৈনন্দিক কাজ কর্ম তদারকি করতে পারবেন। সভা আহ্বান করার জন্যতিনি সাধারন সম্পাদককে প্রয়োজনীয় সময়ে নির্দেশনা দিবেন। প্রয়োজনে তিনি নিজেও সভা আহ্বান করতে পারবেন। সভায় আলোচ্য সূচী র্নিধারন ও পরিচালনা করবেন। তিনি সংগঠনের পক্ষে সকল স্তরে সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠিপত্র, যে কোনো কাগজ বা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করবেন। কোন বিষয়ে সমান সমান ভোট পড়লে সভাপতি নিজেও অতিরিক্ত ১ একটি ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন। যদি পরিচালনা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যগণ দূর্নীতি পরায়ণ বলে বিবেচিত হয় আর সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে অথবা অন্য কোন কারণেপরিবেশগত জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে সভাপতি জরুরী ভিত্তিতে পরিচালনা পরিষদের সভা আহŸান করবেন এবং দুই তৃতীয়াংশ সখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে নিজ ক্ষমতা বলে পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করতে পারবেন। পদাধিকার বলে তিনি এডহক কমিটির সভাপতি থাকবেন। উক্ত এডহক কমিটি ৪৫ (পয়তাল্লিশ) দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন সম্পূর্ণ করবেন।
৬.২ সহ-সভাপতি: সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভার সভাপতিত্ব করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমুহে সভাপতির অনুমোদন স্বাক্ষর করাতে হবে। সভাপতিরসাংগঠনিক অন্যান্য কাজকর্মে সহযোগিতা করবেন।
৬.৩ সাধারণ সম্পাদক: তিনি সংগঠনের সহ নির্বাহী প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনের ব্যাপারে সভাপতির সাথে পরামর্শ ক্রমে সকল প্রকার সভা আহŸান করবেন এবং সভার আলোচ্য সূচী নির্ধারন করা, পরিচালনা করাসহ সংগঠনের পক্ষে সকল স্তরে সকল প্রকার যোগাযোগ রক্ষা করবেন। পরিচালনা পরিষদ ও সাধারন পরিষদের সভায় সকল প্রকার রিপোর্ট পেশ করবেন। সংগঠনের সকল রেকর্ড পত্র সংরক্ষন করবেন। পরিচালনা পরিষদ ও সভাপতি কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাহী পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বপ্রকার সহযোগীতা, পরামর্শ প্রদান ও উদ্যোগ গ্রহন করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতেসাধারণ সম্পাদকসংগঠনের সকল কাগজপত্র, ডকুমেন্টসহ চিঠিপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করতে পারবেন। সংগঠনের সকল শাখার কর্মকান্ড তদারকি করতে পারবেন।
৬.৪ সহ-সাধারণ সম্পাদক: সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতে তাঁহার কার্যাবলী সম্পাদন করবেন। সংগঠনের সকল রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ, চিঠিপত্র গ্রহন করবেন। সাধারণ পরিষদের সভায় সকল প্রকার রিপোর্ট করবেন। পরবর্তীতে সাধারন সম্পাদকের উপস্থিতিতে সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহে সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদন স্বাক্ষর করাবেন।
৬.৫ অর্থ সম্পাদক:অর্থ সম্পাদক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরপরামর্শ ও নির্দেশনায় সংগঠনের যাবতীয় অর্থ হিসাব, নিরীক্ষা সংক্রান্ত র্কায পরিচালনা করবেন এবং চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করবেন। অর্থ সংক্রান্ত সকল হিসাব-নিকাশ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুচারুভাবে সম্পন্ন করবেন।
৬.৬ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: সাহিত্য, কলা-চারুকলা, পুরাতন পান্ডুলিপি লোকগীতি, পুঁথি সাহিত্য, দেশের ইতিহাস, ধর্মীয় ইতিহাস, দুস্প্রাপ্য পান্ডুলিপি সংগ্রহ করা এবং আধুনিক জ্ঞান ভিত্তিক গল্প, কবিতা, উপন্যাস সংগ্রহ করা এবং প্রকাশ করা। চিত্ত বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। পুরাতন দিনের সকল গান গুলো সংরক্ষন করা এবং বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা করা।
৬.৭ বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: বিজ্ঞান, জ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন কল্পে এবং বিজ্ঞান মনষ্ক মানব সম্পদ তৈরির লক্ষ্যে উৎসাহ প্রদান এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন কল্পে বিজ্ঞানাগার ও বিজ্ঞান গবেষনা কেন্দ্র তৈরীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা।
৬.৮ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: সংস্থার যাবতীয় কর্মসূচী প্রচার ও প্রসারের জন্য সকল সদস্য/সদস্যা সহ দেশব্যাপী কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার চালানোর দায়িত্ব পালন এবং সকল প্রকার প্রকাশনা তথা ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা।
৬.৯। দপ্তর সম্পাদক: সংগঠনের যাবতীয় কাগজ পত্র সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষন, চিঠিপত্র আদান-প্রদান সহ যাবতীয় ফাইল/ডকুমেন্ট নিজ হেফাজতে সংস্থার কার্যালয়ে সংরক্ষনের ব্যবস্তা করতে বাধ্য থাকিবেন। সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
৬.১০ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: সমাজের বিভিন্ন ধরণের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমাদের সংগঠন কিছু কার্যকরী পদক্ষেন গ্রহন করবেন। সমাজ কল্যান সম্পাদক হিসাবে পথ শিশু, বিধবা, বৃদ্ধ তথা সমাজের অবহেলিত মানুষের সমস্যা চিহ্নিতকরণ, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাক্ষ্য ও পূর্নবাসন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
৬.১১ পরিচালনা পরিষদের সভায় ৩ (তিন) জন সদস্য থাকবেন। নি¤েœ ৩ (তিন) জন সদস্যের বিস্তারিত দায়িত্ব ও কর্তব্য দেয়া হলো-
সদস্য- ০১:১ নং সদস্য সংগঠনের সকল সদস্যদের সাথে যোগসূত্র গড়বেন এবং সকল সদস্যদের কাজের অগ্রগতির মূল্যায়ন ও তদারকি করবেন। ১ নং সদস্য সংগঠনের সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ সকল স্তরের পরিচালক ও কর্মকর্তা বৃন্দকে সার্বিক কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান করবেন।
সদস্য- ০২: ২ নং সদস্য সংগঠনের সভায় উপস্থিত থেকে মতামত প্রদান করবেন। সংগঠনের উন্নয়নের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় পরিচালনা পরিষদের সকলের সাথে সহযোগিতা করবেন।
সদস্য- ০৩: ৩ নং সদস্য সংগঠনের সভায় উপস্থিত থেকে মতামত প্রদান করবেন। পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।
৭.০ সংগঠনের বিভাগ সমূহ:
(ক) প্রশাসন বিভাগ
(খ) অর্থ বিভাগ
(গ) প্রশিক্ষন বিভাগ
(ঘ) পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন বিভাগ
অনুচ্ছেদ: ৮.০ তহবিল সংগ্রহ ও ব্যয়।
৮.১ সদস্যবৃন্দ মাসিক ৫০ টাকা হারে অথবা নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত চাঁদা তহবিলে যুক্ত করবেন।
৮.২ সমর্থক সদস্যদের চাঁদা, দান, অনুদান বা আর্থিক সাহায্য তহবিলে যুক্ত করবেন।
৮.৩ নীতি নৈতিকতা বর্জিত অসৎ দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য গ্রহন করা যাবে না।
৮.৪ সকল প্রকার সদস্য ফি, দান, অনুদান, ইত্যাদি রশিদের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।
৮.৫ সকল প্রকার চাঁদা, দান-অনুদান অফেরত যোগ্য।
৮.৬ সংগঠন পরিচালনা করার জন্য পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত ক্রমে অর্থ ব্যয় করা যাবে।
৮.৭ যে কোন যুক্তি সংগত কর্মসূচী বাস্তবায়নে সভাপতির অনুমতিক্রমে পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তে ব্যয় করা হবে।
৮.৮ গঠন তন্ত্রের পরিপন্থি ব্যয় করা যাবে না।
৮.৯ সংগঠনের তহবিল থেকে ব্যক্তিগত ধার কার্জ দেয়া যাবে না।
অনুচ্ছেদ ৯.০ শাখা কমিটি:
৯.১ পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থানরত সদস্যদের সমন্বয়ে বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, পর্যায়ে শাখা কমিটি গঠন করা হবে।
৯.২ বিভাগ/জেলা/উপজেলার নাম যুক্ত করে অনুমোদিত শাখার নাম নির্ধারিত হবে।
৯.৩ শাখা কমিটি সমূহ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সংগঠনের উদ্দেশ্য আদর্শ, লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করবে।
৯.৪ শাখা কমিটি কর্তৃক বার্ষিক প্রতিবেদন ও সদস্যদের তালিকা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করতে হবে। তা অবশ্যই শাখা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষরিত হতে হবে।
৯.৫ অন্তত ২০ জন সদস্য না হলে শাখা কমিটি অনুমোদন যোগ্য হবে না।
৯.৬ শাখা অনুমোদনের জন্য …………….. ফি এবং পরবর্তী নবায়ন ফি বাবদ প্রতি বছর …………………. টাকা সংগঠনকে দিতে হবে।
৯.৭ সংগঠনের সাধারণ পরিষদ ও কার্য নির্বাহী পরিষদ সম্পর্কিত বিধান গুলো স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শাখা সমূহের কমিটি ও সাধারন সভার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
৯.৮ বিদেশী কমিটি:
বাংলাদেশের বাহিরে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত সংগঠনের ভাবাদর্শ অনুসরনে সে সব দেশের নিয়মনীতি অনুসরন পূর্বক কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। উক্ত সংগঠনগুলো মর্যাদা ও ভাবমূর্তি উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। বামাস উক্ত সংগঠন গুলোর সাথে সৌভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক বজায় রাখবে।
অনুচ্ছেদ ১০.০ সভা:
১০.১ ত্রিবার্ষিক সাধারন সভা:
কার্য নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ উর্ত্তীনের ৩০ দিন পূর্বে ত্রিবার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার জন্য ৫-১০ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে।
১০.২ বার্ষিক কার্য নির্বাহী সভা:
বছরের শেষে বাষিক কার্য বিবরণী সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভার ৭ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করতে হবে। সভায় বছরের শেষে বার্ষিক কার্যক্রমের রিপোর্ট, সার্বিক আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষন ও প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
১০.৩ জরুরী সভা:
কার্য পরিচালনা ও সাংগঠনিক বিশেষ পরিস্থিতি ও প্রয়োজনে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার নোটিশে কার্য নির্বাহী পরিষদ ও ৩ দিনের নোটিশে সাধারন সভা আহ্বান করা যাবে।
১০.৪ এজেন্ডা: সকল সভায় এজেন্ডা অবশ্যই থাকতে হবে।
১০.৫ নোটিশ: সদস্যদের অবগতির জন্য সংগঠনের সকল কার্যক্রমের চিঠি/নোটিশ পত্রাদি নির্দিষ্ট বোর্ড থেকে করতে হবে।
১০.৬ ফোরাম: সকল সভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার ফোরাম পূরণ করতে হবে।
অনুচ্ছেদ ১১.০ হিসাব পরিচালনা:
১১.১ আর্থিক লেনদেন সমূহ দেশের যে কোন তফসিল ব্যাংকে সংগঠনের নামে রক্ষিত হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
১১.২ ব্যাংক হিসাব সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। সভাপতি অথবা সাধারন সম্পাদকের যে কোন একজন এবং অর্থ সম্পাদক এই দুই জনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে।
অনুচ্ছেদ ১২.০ নিরীক্ষা (অডিট):
১২.১ বার্ষিক কার্য বিবরণী সভায় বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষন ও প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
১২.২ যে কোন কার্যানুষ্ঠানের হিসাব পরবর্তী সবায় নিরীক্ষা করা হবে।
১২.৩ জরুরী অবস্থায় উপদেষ্টা পরিষদ নিরীক্ষন কার্য পরিচালনা করবেন।
১২.৪ সংগঠনের সকল অডিট রিপোর্ট পরিচালনা পরিষদ ও সাধারন পরিষদ কর্তৃক গৃহীত ও অনুমোদিত হতে হবে।
১২.৫ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে যে কোন সদস্য অডিট করতে পারবে।
অনুচ্ছেদ ১৩.০ আইন:
১৩.১ কার্য নির্বাহী পরিষদের গঠনতন্ত্র অনুসৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তই সংগঠনের আইন বলে বিবেচিত হবে।
১৩.২ গঠনতন্ত্রে বর্ণিত হয়নি এমন কোন বিষয়ে সমস্যার উদ্ভব ঘটলে কিংবা কোন প্রশ্ন দেখা দিলে কার্য নির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ পরার্মশে সভাপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহিত হবে।
১৩.৩ বামাস দেশের সংগঠন বিষয়ক প্রচলিত সাধারণ নিয়মনীতি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আইন-কানুন সমূহের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
অনুচ্ছেদ ১৪.০ গঠনতন্ত্র ও সংশোধন:
১৪.১ সম্মেলনে গঠনতন্ত্রের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা করবেন সভাপতি।
১৪.২ অন্তঃবর্তী কবলে এজেন্ডাভূক্ত সাধারন সভায় কার্য নির্বাহী পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ যৌথভাবে গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারবেন।
১৪.৩ গঠনতন্ত্রের মূলনীতি (উদ্দেশ্য, আদর্শ, লক্ষ্য) ও কার্যক্রমের মৌলিকতা ক্ষুন্ন না করে এমতাবস্থায় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন, সংশোধন ও পরিবর্ধন কেবল মাত্র বার্ষিক সাধারণসভায় সংগঠনের দুই-তৃতীয়াংশ সাধারণ সদস্যদের অনুমোদন সাপেক্ষে করা যাবে।
অনুচ্ছেদ ১৫.০ বিবিধ:
১৫.১ যে কোন সদস্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারবেন।
১৫.২ কোন পদের বিপরীত একের অধিক প্রার্থী পাওয়া না গেলে ঐ একক প্রার্থীই বিনা ভোটে নির্বাচিত হবেন।
১৫.৩ কার্য নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ ৪ বছর। তবে অনিবার্য কারণে নির্বাচন আয়োজন করা না গেলে উপদেষ্টা পরিষদরে পরার্মশেসভাপতি কার্য নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ ১৬.০ গঠনতন্ত্র অনুমোদন:
বামাসের ০১/০৫/২০২৪ ইং তারিখের সাধারণ সবায় গঠনতন্ত্রটি পঠিত হয় এবং সর্ব সম্মতিক্রমে তা অনুমোদিত হয়।